40000 টাকা পর্যন্ত স্কলারশিপ দিচ্ছে Amazon কোম্পানি, এক্ষুনি আবেদন করুন। Amazon Scholarship 2022

বার্ষিক ৪০০০০ টাকা পর্যন্ত স্কলারশিপ দিচ্ছে Amazon কোম্পানি, এক্ষুনি আবেদন করুন। Amazon Scholarship

Amazon Scholarship 2022: একটি বিরাট সুখবর এসে গেছে বেকার যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে দেশের তথা রাজ্যের সমস্ত জনসাধারণের জন্য। আমাদের দেশের এখনো পর্যন্ত অনেক ছাত্রীরা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে লেখাপড়া করার পরে মনে মনে স্বপ্ন দেখে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করার পর তারা বিভিন্ন লাইন নিয়ে পড়াশোনা করবে। কেউ কেউ আছে যারা কলেজে এডমিশন হয় আবার অনেকে অন্যান্য জায়গায় পড়াশোনা করতে যায়। কিছু কিছু পড়ুয়া ইনফরমেশন টেকনোলজি বা কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করে টেকনিক্যাল দিক দিয়ে পারদর্শী হয়ে এক নামকরা আইটি কোম্পানিতে চাকরি করতে চান। এবার থেকে আর কোন চিন্তাই করতে হবে না কারণ সকলেই পেয়ে যাবেন বার্ষিক ৪০ হাজার টাকা করে। কিছু কিছু পরিবারের আর্থিক অসংগতির কারণে অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয়ে ওঠে না। তার ফলে তাদের দেখা, বড় বড় স্বপ্ন গুলি স্বপ্ন হয়েই থেকে যায়। কখনো বাস্তব রূপে ফিরতে পারে না।

Amazon Scholarship 2022

আর ঠিক সেই জন্যই সেই সব দরিদ্র পরিবারে বসবাসকারী প্রতিটি মহিলা শিক্ষার্থীরা যারা উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর information টেকনোলজি বা কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে না অর্থের অভাবে যাতে তারা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে কোনভাবে তারা দুর্বল হয়ে না পারে বিশ্বের বিখ্যাত ই-কমার্স কোম্পানি amazon ভারতীয় বসবাসকারী প্রতিটি অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া মহিলা পড়ুয়াদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করার পর ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Amazon কোম্পানি দ্বারা চালু করা নতুন স্কলারশিপ এর নাম হলো অ্যামাজন স্কলারশিপ। যা বর্তমানে Amazon future engineers scholarship নামে পরিচিতি পেয়েছে। স্কলারশিপের দ্বারা প্রত্যেক দরিদ্র পরিবারের মহিলা শিক্ষার্থীদের বছরে ৪০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। চার বছরে মোট ১ লক্ষ ৬০  হাজার টাকা দেওয়া হবে। যে টাকাটি দিয়ে তারা অ্যামাজন কোম্পানিতেই ইনফরমেশন টেকনোলজি বা কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বা ডিপ্লোমা কোর্স করতে পারবে । এছাড়াও বিভিন্ন টেকনিক্যাল দিক থেকে পারদর্শী হয়ে ওঠার পর প্রশিক্ষণ শেষে amazon কোম্পানি তাদের নিজস্ব কোম্পানিতেই সেই সব মহিলাদের চাকরির সুযোগ করে দেবে। পুরো বিষয়টা এক কথায় বললে এটাই দাঁড়ায় ভারতের প্রতিটি অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা পরিবারের মেধাবী মহিলা পড়ুয়াদের প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ করে তুলতে এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার পথে অগ্রসর করে দেওয়াই হল amazon কোম্পানির একমাত্র লক্ষ্য।

অ্যামাজন স্কলার্শিপ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হলে কি কি যোগ্যতা লাগবে? 

এই স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আবেদন করার জন্য মহিলা শিক্ষার্থীর যা যা যোগ্যতা থাকা দরকার সেগুলি হল-

  1. আবেদনকারী মহিলা শিক্ষার্থীকে কম্পিউটার কম্পিউটার সাইন্স বা ইনফরমেশন টেকনোলজিতে B.E/ B.Tech কোর্সে অতি অবশ্যই প্রথম বর্ষের একজন ট্রেনি হতে হবে।
  2. অতি অবশ্যই আবেদনকারীকে ভারতের যেকোনো জেলার বাসিন্দা একজন মহিলা শিক্ষার্থী হতে হবে।
  3. আবেদনকারী মহিলা শিক্ষার্থীর পরিবারের বার্ষিক আয় তিন লক্ষ টাকার নিচে হতে হবে।
  4. পরিবারের যে মহিলা শিক্ষার্থী প্রথম গ্রাজুয়েশন পাশ করেছে সেই অগ্রাধিকার পাবে।

অ্যামাজন স্কলার্শিপ এর টাকা কিভাবে দেওয়া হবে এবং কবে দেওয়া হবে?

ভারতের প্রতিটি অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া মহিলা শিক্ষার্থীকে কম্পিউটার সাইন্স বা ইনফরমেশন টেকনোলজিতে চার বছরের ডিপ্লোমা কোর্স কমপ্লিট করার জন্য প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে শেষ বর্ষে ভর্তি হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক বছর 40 হাজার টাকা করে চার বছরে মোট ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা স্কলারশিপ দেওয়া হবে অ্যামাজন কোম্পানির তরফ থেকে। এই স্কলারশিপের প্রথম কিস্তির টাকা আগামী বছরের ৩১ শে মার্চ দেওয়া হবে।

এই স্কলারশিপে কিভাবে আবেদন করবেন?

এ স্কলারশিপের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে এবং আবেদনের জন্য যা যা করতে হবে সেগুলি হল-

  1. প্রথমেই www.buddy4study.com এই পোর্টালে ঢুকে নিজের যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
  2. এরপর বিভিন্ন স্কলারশিপ এর মধ্যে থেকে Amazon future engineer scholarship এ ক্লিক করতে হবে।
  3. তারপরে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম এর মত একটি নিউ উইন্ডো ওপেন হবে।
  4. এরপর সেই ফর্মে নির্দেশ অনুযায়ী ভালোভাবে ফিলাপ করতে হবে নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, অভিভাবকের নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জেন্ডার বয়স, ঠিকানা, আধার নম্বর, একটি ফোন নাম্বার ,বৈধ ইমেইল আইডি ইত্যাদি লিখতে হবে।
  5.  তারপরে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর একটি পাসপোর্ট সাইজের ফটো ও নিজের সিগনেচার ছবি তুলে স্ক্যান করে নির্দিষ্ট স্থানে আপলোড করে দিতে হবে।
  6. তারপরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সার্টিফিকেট ও মার্কশিট সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় ডকুমেন্টস ছবি তুলে স্ক্যান করে আপলোড করে সাবমিট করে দিলেই অ্যাপ্লিকেশন হয়ে যাবে।

বিভিন্ন প্রয়োজনীয় নথিপত্র- 

আবেদন করার সময় অনলাইনে যেই সকল ডকুমেন্টস গুলো জমা করতে হবে সেগুলো হল- 

  1. আধার কার্ডের স্ক্যান কপি
  2. বার্থ সার্টিফিকেট বা মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড স্ক্যান করা।
  3. স্ক্যান করে এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ফটো।
  4.  ব্যাংক একাউন্টের প্রথম পেজ জেরক্সের স্ক্যান কপি।
  5. কলেজের বিভিন্ন খরচ পাতির রশিদ স্ক্যান করা।
  6. পরিবারের বার্ষিক ইনকাম সার্টিফিকেট স্ক্যান করা।
  7.  আসুন বরাদ্দের জন্য কাউন্সিলিং লেটার্স স্ক্যান করা।
  8. হোস্টেল টিউশন ও মেসের খরচের রশিদ স্ক্যান করা।
  9. মাধ্যমিকে উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিট ও সার্টিফিকেট স্ক্যান কপি।

কিভাবে প্রার্থী বাছাই করা হবে- 

আবেদনকারী প্রার্থীদের অনলাইন আবেদন পত্র জমা পরার পর ফাউন্ডেশন ফর এক্সিলেন্স ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে আবেদনকারী প্রার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে নাম্বার পাওয়া ভিত্তিতে একটি মেরিট লিস্ট তৈরি করা হবে এই স্কলারশিপের তরফ থেকে। এই লিস্টে যাদের যাদের নাম থাকবে তাদের স্কলারশিপ দিয়ে ট্রেনিং করিয়ে ট্রেনিং শেষে নিজের কোম্পানিতেই নিয়োগ করবে বিশ্ব বিখ্যাত ই-কমার্স কোম্পানি Amazon

আবেদনের সময়সীমা-

ইতিমধ্যেই খুলে গিয়েছে এই স্কলারশিপ এর জন্য আবেদনপত্র জমা নেওয়ার অনলাইন পোর্টাল। তাই যেসব অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া পরিবারের মহিলা শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যেই উচ্চমাধ্যমিক পাস করে বসে আছেন তারা আর দেরি না করে আজই আবেদন করে ফেলুন। এছাড়া অ্যামাজন কোম্পানির তরফ থেকে কম্পিউটার সাইন্স বা ইনফরমেশন টেকনোলজি তে ইঞ্জিনিয়ারিং বা ডিপ্লোমা কোর্স কমপ্লিট করার জন্য প্রতি বছর বছর স্কলারশিপ পেয়ে যাবেন আর অ্যামাজন কোম্পানিতে চাকরি করে নিজের জীবন প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠবে।

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.