৯টি কার্যকরী উপায় অল্প পড়াশোনা করেও পরীক্ষার ভালো রেজাল্ট করার জন্য

৯টি কার্যকরী উপায় অল্প পড়াশোনা করেও পরীক্ষার ভালো রেজাল্ট করার জন্য।

প্রত্যেকেরই একটি স্বপ্ন থাকে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা। সারাদিনরাত পড়াশোনা করার পরেও যা নাম্বার পায় অনেকে সামান্য কিছু সময় পড়েই তত নাম্বারই পাচ্ছে অনেকে এমনটাই অনেক সময় দেখা যাচ্ছে। অনেক অনেক পড়াশোনা করেও ভালো নাম্বার উঠছে না অথচ একই রকম মেধা সম্পন্ন কোন বন্ধু-বান্ধবী অল্প পড়াশোনা করেই খুব ভালো একটা রেজাল্ট করে ফেলছে এমনটাও অনেক সময় হচ্ছে।

আবার কখনো কখনো এমনটাও দেখা যায় যে ছাত্রছাত্রীরা একসাথে দুটি কোষ নিয়ে পড়াশোনা শুরু করে দেয় কলেজের সাথে আইটিআই কোর্স আইটিআই কোর্সের সাথে কম্বাইন্ড পড়াশোনা এমন অনেক রকম দেখা যাচ্ছে। যে বিষয়টি তাদের বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেই বিষয়ে ফোকাস করে অন্যান্য বিষয়টিতে অল্প পড়েও ভালো নাম্বার পাওয়ার স্বপ্ন সবারই থাকে।



এবার অনেকের মনেই হয়তো প্রশ্ন আসে যে অল্প করে ভালো রেজাল্ট করার উপায় কি? এই প্রতিবেদনে এই সবকিছুই আলোচনা হবে।

তবে এটা মনে রাখতে হবে, পুরোপুরি শর্টকাট অবলম্বন করে পড়াশোনা একদমই না করে পরীক্ষার ফল কোনদিনও ভালো হবে না উল্টে ফেল করা সম্ভাবনাও আছে। পড়াশুনা করার পাশাপাশি কিছু কিছু নির্দিষ্ট টেকনিক ফলো করলেই অল্প পড়াশোনা করে ভালো নাম্বার পাওয়া যাবে।


1) গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলি পড়ে ফেলো।

       পরীক্ষার সিলেবাসিটি কতগুলি অধ্যায় আছে তার ওপর নির্ভর করে প্রায় সব কটি অধ্যায় থেকেই প্রাইমিলিয়ে মিশিয়ে প্রশ্ন দেওয়া হয়ে থাকে। তার মধ্যে আবার ছাত্রছাত্রীদের দু একটি অপশন বেশি দেওয়া হয়। তাই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় গুলিতে ফোকাস করে যদি দু একটি অধ্যায় পড়ার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় তাহলেও সে ক্ষেত্রে পরীক্ষার হলে একশো শতাংশ নাম্বার উত্তর দিয়ে আসা সম্ভব।


অন্যান্য চাকরীর খবর ঃ 

ভারতীয় বায়ু সেনায় মাধ্যমিক পাশে নিয়োগ - আবেদন করুন

৩৫ হাজার টাকা বেতনে রাজ্যের ফুট সেফটি অফিসার নিয়োগ - Apply Now 


2) পড়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করতে হবে।

      যদি ধরুন পরীক্ষায় ৩০ দিন বাকি আছে। এবং বইয়ের ৬০ পৃষ্ঠা পড়া বাকি সে ক্ষেত্রে আপনি প্রত্যেক দিন আড়াই পৃষ্ঠা করে মুখস্থ করে ফেলুন তাহলে কোন চাপ থাকবে না। এবং সেই মতো একটি রুটিন তৈরি করে নিয়ে পরীক্ষার অন্তত কিছুদিন আগে সমস্ত পড়াটি কমপ্লিট করে ফেলতে হবে। হাতে কিছুদিন সময় পাওয়া যাবে তারপরে আবার পড়াটির উপর রিলেশন দেওয়ার জন্য।


3) লেখা অভ্যাস করতে হবে।

   আমরা পড়ার কোন জিনিস লিখে রাখলে সেটা আমাদের বেশিদিন পর্যন্ত মুখস্ত থাকে এরকমই কিছু একটা গবেষণায় দেখা গেছে। যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ পড়া প্রশ্ন মুখস্ত করার পরে আপনার ভুলে যাওয়া স্বভাব থাকে তাহলে সেটি মুখস্থ করে তৎক্ষণাৎ খাতায় লিখে ফেলুন মনে করে। মাঝে মাঝে এরকম কিছু অভ্যাসে খুব কঠিন পরাও আপনার বহুদিন ধরে মনে থাকবে এবং সেটিকে বুঝতে সুবিধা হবে।


4) যে টপিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সেটির উপর ফোকাস করতে হবে।

    কিছু প্রশ্ন যেমন বিগত বছরগুলি পরীক্ষা যে হয়েছে তার প্রশ্নপত্র অনুসরণ করে টপিকগুলো নিয়ে যে বেশি প্রশ্ন আসে সেই টপিকগুলো খাতায় ভালো করে নোট ডাউন করে নিতে হবে। সেই টপিকগুলোর উপর ভালোভাবে ফোকাস করতে হবে যাতে আপনার আত্মার মধ্যে এসে যায় পরীক্ষায় পড়লেই সে প্রশ্নগুলো যেন কমন আসে।


5) বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করা।

       মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই পদ্ধতি খুবই কার্যকরী মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রায় বেশিরভাগ প্রশ্নের বিগত বছরগুলির সাথে রিপিট হয়ে থাকে তাই বিগত 10 বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করলে ৬০ শতাংশ নাম্বার তার থেকেও বেশি নম্বর অনায়াসেই সমাধান করে ফেলা যায় পরীক্ষার হলে এবং ৬০% নাম্বারের উপরেই নাম্বার পাওয়া যায়।


6) নির্দিষ্ট একটি শান্ত পরিবেশে পড়তে বসতে হবে।

       রাতে এবং খুব ভোরে আমাদের চারিপাশটা শান্ত থাকে। এই সময় যদি আমরা পড়তে বসি তাহলে অদ্ভুত নীরবতার মধ্যে পড়াশোনা করা সম্ভব হয় খুব সকালে এবং রাতের দিকে পড়লে সেই পড়া মনে রাখতেও সুবিধা হয়।


7) নিয়মিত মক টেস্ট দিতে হবে।

      বিভিন্ন কোশ্চেন ব্যাংক প্রশ্ন বিচিত্রা টেস্ট পেপার এবং অনলাইনেও বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় প্রতিটা ক্লাসেরই মক টেস্ট বা শর্ট টেস্ট বা ফুল টেস্ট ব্যবস্থা থাকে। এইসব টেস্ট পেপার বা প্রশ্ন বিচিত্রা বা অনলাইন অ্যাপ এ যেসব প্রশ্ন দেওয়া থাকে সেইগুলো ঠিক পরীক্ষাতে আসতে পারে বেশিরভাগটা। নিয়মিত এই টেস্টগুলি যদি আমরা দেই খুব বেশি সময় লাগে না। এই টেস্ট করলে দেওয়ার ফলে আপনার প্রশ্ন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা বাড়বে বিভিন্ন সময়ের মধ্যে প্রশ্নপত্র সমাধান করার অভ্যেস তৈরি হবে এবং পরীক্ষার হলে গিয়ে বুঝতে পারা যাবে এতদিন যে টেস্ট গুলো আপনি দিয়েছেন তার থেকে প্রায় একশ শতাংশ প্রশ্ন পরীক্ষায় কমন চলে এসেছে ।


8) গল্প সম্পূর্ণ না পড়ে সারাংশ পড়তে হবে।

     অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলা পদ্ম গদ্য এবং ইংরেজি পড়তে অনিহা তৈরি হয় তারা সম্পন্ন করতে বাধ্য করার বদলে সারাংশ টি পড়তে পারেন সহায়িকা বই থেকে এভাবে খুব অল্প পড়াতেই পুরো গল্পটি সম্পর্কে একটি ধারণা তৈরি হয়ে যায়। মোটামুটি ভাবে পরীক্ষায় যা প্রশ্ন আসবে তা আপনার জানা সারাংশ থেকেই আসবে।


9) কঠিন বিষয় গুলিতে ভালো করে জোর দিতে হবে।

     কিছু কিছু ছাত্র ছাত্রীরা প্রায় সময় অতিরিক্ত সময় নষ্ট করে ফেলে সহজ বিষয়গুলির উপরে। বাড়িতে বাবা-মায়ের চাপ হোক বা পড়তে বসে টাইম নষ্ট করা একটা সহজ সাবজেক্ট নিয়ে অনেকক্ষণ সময় কাটিয়ে দিয়ে অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে যায় এই সময় গলিতে যদি কঠিন সাবজেক্টের উপর মন দেওয়া যায় তবে সে ক্ষেত্রে আপনারই উপকার হবে সহজ বিষয়ও ছোট সহজেই আপনার মনে থেকে যাবে কিন্তু কঠিন বিষয়টি একটু হলেও রপ্ত করে ফেলতে পারবেন।

    পড়াশোনা না করে কিন্তু ভালো ফল করা যাবে না আপনারা যদি পড়াশোনা করার পাশাপাশি এই কিছু টেকনিক ফলো করে রাখেন তাহলে অল্প সময়ে ভালো ফলাফল করে নেয়া সম্ভব হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.